পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সম্পর্কের আকাশে কালো মেঘ

পাকিস্তানের পেশোয়ার প্রদেশে একটি অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালে আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিরা দাঁড়ালেও দাঁড়াননি দুই আফগান কূটনীতিক। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ এক অনুষ্ঠানের। আয়োজন করেছিলেন খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গন্ডাপুর। সেই বৈঠকে অন্যতম প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের কূটনীতিবিদেরা।
নিয়ম অনুযায়ী অনুষ্ঠানের শুরুতে পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। সম্মান জানাতে সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়ান অনুষ্ঠানে উপস্থিত পাক প্রতিনিধিরা। অভিযোগ, সবাই উঠে দাঁড়ালেও পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন উঠে দাঁড়াননি আফগান কূটনীতিবিদ মহিবুল্লা শাকির এবং তাঁর সহযোগীরা। নিজেদের আসনে বসেই ছিলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, শাকির পেশোয়ারের আফগান কনসাল জেনারেল। কাবুলের কট্টরপন্থী তালেবানরা সঙ্গীত সহ অনেক শিল্পের প্রতি অসহিষ্ণু। শিল্পীদের প্রতি তাদের অপছন্দের কারণে অনেক গায়ক, সঙ্গীতশিল্পী এবং অন্যান্য শিল্পী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। পাক পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বেলুচ বলেছেন, আয়োজক দেশের সঙ্গীতের জন্য এই ধরনের “অসম্মান” কূটনৈতিক নিয়মের পরিপন্থী।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা ইসলামাবাদ এবং কাবুল উভয়েই আফগান কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিপরীতে, আফগান কনস্যুলেট জেনারেলের মুখপাত্র, শহীদুল্লাহ জোর দিয়ে বলেছেন যে, ‘আমরা পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান করার কথা ভাবতেও পারি না।’
পাক জাতীয় সঙ্গীতে বাদ্যযন্ত্র এবং সুরের উপস্থিতির কারণেই বসে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাদের কূটনীতিবিদরা ।
সূত্র : ডন