বড়লেখায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠালতলী-মাধবকুণ্ড সড়কের পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করলো তরুণরা

কাঠালতলী-মাধবকুণ্ড সড়ক। সড়কের দুই পাশে ঘন ঝোপঝাড় আর গাছপালা। কোথাও কোথাও সড়কের উভয়পাশে বেড়ে ওঠা গাছপালা আর লতাগুল্ম সড়কের ওপর এসে গড়িয়েছে। যার কারণে সড়কটা কিছুটা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া সড়কটিতে ঘন ঘন বাঁক রয়েছে। এ রকম অবস্থায় পথচারী ও যানবাহনের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে।
এই পরিস্থিতিতে সড়কের দুই পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কারে উদ্যোগ নেন বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের কাঠালতলী (টাকি) এলাকার তরুণরা। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তারা স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠালতলী-মাধবকুণ্ড রাস্তার দুইপাশের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন। প্রতি শুক্রবার তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চালাবেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের কাঁঠালতলী বাজার (মৌলভীবাজার-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়ক) থেকে পূর্বদিকে গেছে কাঠালতলী-মাধবকুণ্ড সড়ক। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে অনেক মানুষ আসা-যাওয়া করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো যানবাহনও চলাচল করে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের দুইপাশে ঝোপঝাড় বেড়ে ওঠেছে। গাছগুলো ডালপালা মেলেছে, যা সড়কের ওপর এসে পড়েছে। এতে সড়কটি কিছুটা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া সড়কটিতে ঘন ঘন বাঁক রয়েছে। এই অবস্থায় পথচারী ও যানবাহনের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে সড়কের দুই পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কারে উদ্যোগ নেন কাঠালতলী (টাকি) এলাকার তরুণ মারুফ আহমদ, আমিনুল ইসলাম ও রাহেল আহমদ। তারা বিষয়টি এলাকার ছোট-বড় সবাইকে জানান। এতে সবার সাড়া মেলে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা শুক্রবার সকাল থেকে সড়কের উভয়পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন এলাকার সমাজসেকব বেলাল আহমেদ ও সয়দুল ইসলাম, শিক্ষক কামরুজ্জামান মুক্তা, জাবেদ আহমেদ, মারুফ আহমদ, আমিনুল ইসলাম, রাহেল আহমদ, আল আমিন, রাজন,জাফর, শুকুর মিয়া, আইনুল ইসলাম, শিমুল আহমেদ, মাসুদ আহমেদ, রাফি, ইমরান, শাকিলসহ অনেক।
শিক্ষক কামরুজ্জামান মুক্তা বলেন, কাঠালতলী-মাধবকুণ্ড সড়কটির উভয়পাশে ঝোপঝাড় ও লতাপাতার কারণে সড়কটি সংকুচিত হয়ে পড়েছিল। এতে পথচারী ও যানবাহনের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। এলাকার কয়েকজন তরুণ বিষয়টি ছোট-বড় সবাইকে জানান। এতে সবার সাড়া মেলে। এরপর আমরা সড়কটির উভয়পাশ পরিস্কারের পরিকল্পনা গ্রহণ করি। পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার থেকে কাজ শুরু করেছি। আমরা প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা পরিস্কার করেছি। প্রতি শুক্রবার আমরা এই কার্যক্রম চালাবো। আমাদের কাজ অনেকে প্রশংসা করেছেন। পুরো সড়কটি আমরা পরিস্কার করব। এজন্য এলাকার মানুষের সাথে কথা হয়েছে। তারা সবাই কাজে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।