শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
Headline
সিলেটে আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক এর পক্ষ থেকে ঈদুল আযহার ঈদ সামগ্রী বিতরণ রাসেল সভাপতি ও নাসির সম্পাদক দক্ষিণ সুরমা ফুটবল একাডেমির নতুন কমিটি গঠন জন সম্পৃক্ততা ছাড়া স্কাউটিং সম্প্রসারণ সম্ভব নয়: বিভাগীয় কমিশনার দক্ষিণ সুরমায় আইন-শৃংখলা কমিটির নিয়মিত সভা আসন্ন ঈদ-উল আযহাকে ঘিরে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির ব্যাপারে প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে — ইউএনও ঊর্মি রায় মক্ষী রাণী লাকি আহমেদ এর দায়েরকৃত মিথ্যা ধর্ষণ মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণ তরুণীদের স্বাবলম্বী ও উদ্যোক্তা তৈরিতে সর্বাত্মক সহায়তা করে যাচ্ছে আনসার বাহিনী…… উপমহাপরিচালক জিয়াউল হাসান সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে সততা, নিষ্ঠা আন্তরিকতা নিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে …….উপ-মহাপরিচালক জিয়াউল হাসান জগন্নাথপুরের ভূমি জোরপূর্বক দখল ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন দিরাইয়ে মোহাম্মদ শিশির মনির ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন উদ্যোক্তা হয়ে মানুষ ও দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে- উপমহাপরিচালক জিয়াউল হাসান

ভারতীয় শ্রেণিবৈষম্যের সামাজিক ব্যবস্থাকে বাস্তব চিত্র ‘সেক্টর ৩৬’

ডেস্ক রিপোর্ট / ২৯২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আলোচিত হিন্দি ওয়েব ফিল্ম ‘সেক্টর ৩৬’-এ নানা প্রতীকী দৃশ্যের মাধ্যমে ভারতীয় সমাজের শ্রেণিবৈষম্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন নির্মাতা। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ১২৪ মিনিটের ক্রাইম থ্রিলার ঘরানার ছবিটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে। ‘সেক্টর ৩৬’ ছবিটি তৈরি হয়েছে একটি বাস্তব ঘটনার প্রেরণায়। ২০০৬ সালে ভারতের নয়ডায় নিঠারি হত্যাকাণ্ড নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সে সময় ঘটনাটি নিয়ে গণমাধ্যমে তুমুল চর্চা হয়।

২০১২ সালে ঘটনাটি নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ‘স্লামডগ ক্যানিবাল’ তৈরি হয়। একই ঘটনা নিয়ে তথ্যচিত্র বানায় নেটফ্লিক্স, ‘দ্য কর্মা কিলিংস’ নামে তথ্যচিত্রটি মুক্তি পায় ২০১৭ সালে। ২০১১ সালে নির্মিত হিন্দি সিনেমা ‘মার্ডার ২’ও তৈরি হয়েছিল একই ঘটনার প্রেরণায়। এবার এল ‘সেক্টর ৩৬’। এত চর্চিত ঘটনা নিয়ে নির্মিত হওয়ার পরও কেন সিনেমাটি আলোচনায়? সমালোচকেরা কেন মনে করছেন, এটি চলতি বছরের অন্যতম সেরা হিন্দি সিনেমা?

আপনি যদি ওটিটিতে প্রতি সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া থ্রিলার সিনেমার নিয়মিত দর্শক হন, তাহলে প্রথমেই একটা কথা জানিয়ে রাখা দরকার, ‘সেক্টর ৩৬’-এ কিন্তু সেভাবে কোনো চমক নেই। না আছে পুলিশি তদন্ত, না আছে চমকে যাওয়ার মতো কোনো গল্পের মোড়। ছবিতে খুনি কে, তা শুরুতেই জেনে যাবেন। কীভাবে খুন হচ্ছে, সেটাও পরিষ্কার। কিন্তু সিনেমাটিতে চরিত্রগুলো যেভাবে সাজানো হয়েছে আর যেভাবে নির্মিত হয়েছে, সেটা দুর্দান্ত।

‘সেক্টর ৩৬’ সিনেমায় সবাই নায়ক, সবাই খলনায়ক। এ সিনেমায় পুরোপুরি সাদা কোনো চরিত্র নেই। কেউ খুব খারাপ, কেউ আবার ধূসর। যাকে শুরু থেকে আপনার ভালো মনে হবে, সে–ই হয়তো হাজির হবে চরিত্রের একটা দিক নিয়ে।

তবে এ ছবিতে যা আছে তা হলো, শ্রেণিবৈষম্যের সামাজিক ব্যবস্থাকে ‘থাপ্পড়’।

‘সেক্টর ৩৬’ এক সিরিয়াল কিলার বা ক্রমিক খুনির গল্প, এটা সবার জানা। এই খুনি একদিকে শিশুদের তার লালসার শিকার বানায়, তো আরেক দিকে সে নরখাদকও। এই খুনি ধনী-গরিব বাছে না; সবাইকেই মারে। কিন্তু পুলিশের টনক নড়ে উচ্চবিত্ত বা প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তির সন্তানকে অপহরণের চেষ্টার পর।

সিনেমাটি কিন্তু সবার জন্য নয়। ছবিতে সহিংসতা আছে, তার চেয়ে বেশি আছে প্রচণ্ড মানসিক চাপ; যা দেখতে অনেকেরই অস্বস্তি হতে পারে। বিশেষ করে, যেভাবে ক্যামেরা চলেছে পুরো সিনেমায়, তা ছবিকে আরও বেশি ভয়ংকর করে তোলে। বাস্তব ঘটনাকেই যেন চোখের সামনে ভয়াবহভাবে তুলে ধরেছেন পরিচালক আদিত্য। চিত্রনাট্যের সঙ্গে একেবারে মিলেমিশে যায় চিত্রায়ন। এই ছবি প্রথম থেকেই থমথমে। টান টান চিত্রনাট্য এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যা কখনো ঢিলা হয়ে যায় না। বরং প্রতিটি ফ্রেম যেন একেকটা গল্পের দলিল।

ছবির সবচেয়ে মজবুত দিক হলো এর চিত্রনাট্য। বোধায়ন রায়চৌধুরী তার লেখনির জোরে এই ছবিকে অন্য মাত্রা দিয়েছেন। বিশেষ করে এই ছবির শেষ দৃশ্য আপনাকে অনেকক্ষণ ভাবাবে।

সিনেমার দুই অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি ও দীপক ডোবরিয়ালের কাজ আপনাকে চমকে দেবে। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে বিক্রান্তের তুমুল চর্চিত সিনেমা ‘টুয়েলভথ ফেল’। ছবিটির জন্য ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। ‘সেক্টর ৩৬’-এ সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের চরিত্রেও বাজিমাত করেছেন বিক্রান্ত। নিষ্ঠুর, মানসিক বিকারগ্রস্ত এক খুনির চরিত্রে তিনি অনেক দিন মনে রাখার মতো অভিনয় করেছেন। অন্যদিকে পুলিশ অফিসারের চরিত্রেও দুর্দান্ত করেছেন দীপক; নিশ্চিতভাবেই এ ছবির পর আরও বৈচিত্র্যময় চরিত্রে প্রস্তাব পাবেন তিনি।

সর্বশেষে ধন্যবাদ পাওনা ছবির প্রযোজনা সংস্থা ম্যাডক ফিল্মসের, যারা মূলত হরর-কমেডি ধাঁচের সিনেমা নির্মাণের জন্য পরিচিত। কিছুদিন আগেই এই প্রযোজনা সংস্থার ‘স্ত্রী ২’ দুর্দান্ত ব্যবসা করেছে। ‘সেক্টর ৩৬’ সে তুলনায় একেবারেই অন্য ধারার ছবি, যা প্রযোজনা সংস্থা হিসেবে তাদের বৈচিত্র্যই তুলে ধরে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর