স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট মহানগর যুব মহিলা লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও আওয়ামী প্রচার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মানবাধিকার সম্পাদক মক্ষী রাণী লাকি আহমেদ এর দায়ের কৃত মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন পাচ সাংবাদিক।সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকা হইতে বহিষ্কারের আক্রোশে এই পত্রিকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনি একের পর এক মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা জিডি করতে থাকেন বিভিন্ন থানা ও কোর্টে।অপহরণ,ধর্ষণ,হুমকি,সাইবার সহ বিভিন্ন ধরনের নাটক ও কল্প কাহিনি তৈরি করে তার একটি সঙ্গীয় টিমের ইন্দন ও কুপরামর্শে সিলেটের সুশীল সমাজের লোকদের জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা আদায় সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার বিষয়ে সিলেট জুড়ে তুলপাড় শুরু হয়েছে।ছিনতাই কারী আব্দুল আলিম রাণা ওরফে সম্বু রাণা ও মলমপার্টির সর্দার কামরুল হাসান জুলহাস ওরফে কাঠ জুলহাস এর যোগাযোগীতে লাকি আহমেদ দীর্ঘ দিন ধরে বেপরোয়া জীবনযাপন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।লাকি আহমেদ এর দায়ের কৃত মিথ্যা ধর্ষণ মামলা নং-৭৬১/২৩ ইং,নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল,সিলেটে ডাক্তারী মেডিকেল সার্টিফিকেটে ‘নো সাইন’ উল্লেখ করেন ডাক্তার এবং পুলিশ ফাইনাল রিপোর্টে জোরপূর্বক ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় নাই মর্মে উল্লেখ করে কোর্টে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা।৭ মে ট্রাইব্যুনালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও দীর্ঘ শুনানী শেষে বাদীর নারাজি দরখাস্ত না-মঞ্জুর করে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় খারিজ করে দেন বিচারক।লাকির দায়েরকৃত বিভিন্ন আদালতে বারবার মিথ্যা মামলায় নারাজি দরখাস্ত নামঞ্জুর করে নথিজাত/খারিজ হয়ে যায় অনেকগুলো জিডি ও মামলা।বর্তমানে মিথ্যা মামলা গুলো নথিজাত হওয়ায় নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন মামলাবাজ লাকি।উল্লেখ্য,লাকির বাড়ি ময়মনসিংহে বর্তমানে সিলেট নগরীর মুন্সি পাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা রাজা মিয়ার কলোনীতে আশ্রয় নিয়ে তিনি একের পর এক অপকর্ম সহ চাঁদাবাজি ও ব্লাকমেইলিং পেশায় নিয়োজিত থেকে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।একেক সময় একেক পরিচয় দেওয়া সহ নিজেকে বাঁচাতে এখন বিএনপির কিছু অসাধু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে তৈলমর্দন করতে দেখা যায়।

এই মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় হয়রানিগ্রস্ত সাংবাদিকরা সবাই মানহানি-ক্ষতিপূরণ মামলা সহ নারী শিশু কোর্টে প্রতিকার চেয়ে ১৭ ধারায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।