সিলেটে নগরীতে প্রেমঘটিত কারণে যুবককে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

সিলেট নগরীতে প্রেমঘটিত কারণে মো. আব্দুল গাফ্ফার নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠছে। আজ ১০/০৭/২০১৯ ইং বিকেল ৪ ঘটিকার সময় মদিনা মার্কেট এলাকার পাঠানটুলা স্কুলের সামনে এঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত মো. আব্দুল গাফ্ফার সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের বউলা এলাকার মৃত ছালিম উল্লাহর ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাঠানটুলা স্কুলের সামনে নার্গিস আক্তার নামে এক মেয়ের সাথে আব্দুল গাফ্ফার গল্প করছিলেন। বিষয়টি ওই মেয়ের বাবা প্রভাবশালী মিজানুর রহমান জানতে পেরে স্থানীয় কয়েক যুবককে ডেকে ঘটনাস্থলে পাঠান। মেয়ের বাবার নির্দেশে ওই যুবকরা এসে আব্দল গাফ্ফারকে দেশীয় অস্ত্র লাটি সোঁঠা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে শুরু করেন।এ সময় তার আর্ত চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা অস্ত্র উচিয়ে বীরদর্পে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিকেল ৫টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত যুবক আব্দুল গাফ্ফার জানান, ২০১৮ সালে নার্গিস আক্তারের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। এক বছর ৫ মাসের প্রেমের সম্পর্কে চলাকালীন সময়ে নার্গিস আক্তারের স্বজনদের হাতে অনেক নির্যাতন ও অপমানিত হয়েছেন। তাদের এ সম্পর্ক নার্গিস আক্তারের বাবা-মা, কোন আত্মীয় স্বজন মেনে নিতে পারেননি। বিশেষ করে নার্গিস আক্তারের বাবা সিলেট শহরের প্রভাবশালী হওয়ায় এর আগেও একাধিকবার বাধা ও হামলা চালিয়েছেন। তাদের পরিবার নিরীহ ও দুর্বল হওয়ায় বার বার হামলার শিকার হতে হয়েছে। আইনের আশ্রয়ও তিনি নিতে পারছেননা। তাদের ভয়ে গোপনে দেখা করার জন্য পাঠানটুলায় এসেছিলেন আব্দূল গাফ্ফার। এরপরও তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি, হামলার শিকার হলেন। কান্নাজড়িত কন্ঠে আব্দুল গাফ্ফার আরও বলেন, হামলাকারীরা যাওয়ার সময় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘ ভাগ্য ভালো আজ বেঁচে গেছিস, পরবর্তীতে আর রক্ষা পাবেনা। এরপর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’