সিলেটে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কর্তৃক মোটর ড্রাইভিং ও মেকানিক্স প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নতুন দিগন্তের উন্মোচন

নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জনসেবা ও জাতীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষ মানবসম্পদ গঠনের ধারাবাহিকতায় ৩য় ধাপে গত ২৫ মে ২০২৫ তারিখ হতে শ্রীমঙ্গল ,কালাপুর মৌলভীবাজার ২৪ আনসার ব্যাটালিয়ন এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৪২ দিন ব্যাপী মোটর ড্রাইভিং ও মেকানিক্স প্রশিক্ষণ-ভিডিপি (পুরুষ) কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা কর্মমুখী প্রশিক্ষণের একটি অনন্য উদাহরণ। এই প্রশিক্ষণে ৪০ জন গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (ভিডিপি) প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছে।
এই প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য হলো- ভিডিপি সদস্যদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি, যুব সমাজকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা এবং দেশের পরিবহন ও মেকানিক্যাল সেক্টরে দক্ষ চালক ও টেকনিশিয়ান সরবরাহ নিশ্চিত করা। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে মনোনীত আনসার-ভিডিপি সদস্যগণ এই প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। বাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে প্রশিক্ষণার্থীর জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সমূহে আবাসন, খাদ্য, ও প্রশিক্ষণ উপকরণের সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুশৃঙ্খল ও পেশাদার প্রশিক্ষণ পরিবেশে অংশগ্রহণকারীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণে উৎসাহিত ও মনোযোগী। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছেন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকগণ, যারা তত্ত্ব ও ব্যবহারিক বিষয়াদির উপর দক্ষতার সঙ্গে ক্লাস পরিচালনা করছেন।
প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণার্থীদের যানবাহন চালনার মৌলিক বিষয়, সড়ক নিরাপত্তা, ট্রাফিক আইন ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার কৌশল সম্পর্কে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। পরে তাদের সরাসরি বিভিন্ন যানবাহন চালানোর পাশাপাশি মেকানিক্যাল কাজের ব্যবহারিক দিক অনুশীলন করানো হয়। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও অনুশীলন শেষে যাতায়াত ভাতা ও আনুষ্ঠানিকভাবে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে, যা তাদের পেশাগত জীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।
এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যরা তাদের ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাহিনীর যানবাহন ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা নিজ এলাকার উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মহাপরিচালকের দক্ষ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় পরিচালিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ভবিষ্যতে আত্মনির্ভরশীল, প্রযুক্তিসচেতন এবং পেশাদার মানবসম্পদ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা হচ্ছে।